বাবরদের বেতন বাড়ছে চার গুণ!

ক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তিতে বিরাট পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। যদিও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে যাওয়াসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে এখনও বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে ক্রিকেটারদের। তার মাঝেই ক্রিকেটারদের আয় চার গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন পিসিবি প্রধান জাকা আশরাফ।

পিসিবির সঙ্গে ক্রিকেটারদের ২০২২-২৩ মৌসুমের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এখন পর্যন্ত ২০২৩-২৪ মৌসুমের চুক্তিতে সই করেননি বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। কারণ, বেতন বাড়লেও পরিমাণে খুশি ছিলেন না ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের চাওয়া ছিল পুরো কেন্দ্রীয় চুক্তিই ঢেলে সাজানো হোক। এর মধ্যে বেতন বৃদ্ধি তো আছেই, পাশাপাশি বিমা সুবিধা, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ নীতিমালা এবং লভ্যাংশ বণ্টনের মতো বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্তি চেয়েছিলেন তারা।

গতবার লাল এবং সাদা বলের ক্রিকেটারদের আলাদা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার ক্রিকেটারদের চার ভাগে ভাগ করা হবে। প্রথম ভাগে থাকবেন বাবর, মহম্মদ রিজ়ওয়ান এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন জনেই সব ধরনের ক্রিকেটে খেলেন। তারা এ বারের চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৪ কোটি ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপির প্রস্তার দেওয়া হতে পারে তাদের। আগের চুক্তিতে লাল বলে খেলা ক্রিকেটাররা মাসে পেতেন ১ কোটি ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি। এ ছাড়া ক্রিকেটারদের অন্য খাতেও আয় বাড়ানোর কথা ভাবছে পিসিবি।

এমন একটা সময় ক্রিকেটারদের আয় বাড়তে চলছে, যখন পাকিস্তানে চলছে অর্থনৈতিক সঙ্কট। মূল্যস্ফিতির কারণে বেড়ে গেছে জিনিসপত্রের দাম। পাক ক্রিকেটারদের আয় বেড়ে যাওয়ার পিছনে রয়েছে আইসিসি-র থেকে পাক বোর্ডেরও আয় বেড়ে যাওয়া। গতবারের তুলনায় এবছর আইসিসি থেকে গত বারের দ্বিগুণ অর্থ পাচ্ছে পিসিবি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব থেকে কম টাকা পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন বাবরেরা। এছাড়া রাজনৈতিক কারণে আইপিএলেও খেলার অনুমতি নেই তাদের । অন্য দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার ক্ষেত্রে বোর্ডের নিয়ম বার বার বদলাতে থাকে। ফলে আর্থিক দিক থেকে ক্রিকেটারেরা অন্য দেশের ক্রিকেটারদের থেকে পিছিয়ে পড়েন। এমন অবস্থায় এই চুক্তি বাবরদের আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন বোর্ডের কর্তারা।

সাবেক তিন অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক, ইনজামাম-উল-হক ও মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে গড়া ক্রিকেট টেকনিক্যাল কমিটির সহায়তায় চুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাকিস্তানের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহর নেতৃত্বে এই কমিটি ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যে কারণে চুক্তি হওয়া নিয়ে আশাবাদী বোর্ড।

আপনি আরও পড়তে পারেন